কিছু কথা, আবেগ, ভালোবাসা, আক্ষেপ মুখে না বলা গেলেও চোখের কোনে একফোঁটা জল অনেকটাই না বলা কথা গুলো বুঝিয়ে দেয় ।
আর সেই স্রোতেই ফের পালতোলা নৌকার মাঝি হতে চান সোনি। কাটসুমি দল ছাড়ার পর অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলেন কর্তারা। সোনি তার সম্মান রেখেছেন। শুধু নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নয়, গোটা টিমটাকে অধিনায়কোচিত দক্ষতায় জাগিয়ে রাখতেন। এক্কেবারে টিমম্যান। বিপক্ষের বক্সে তাঁর পায়ে বল তুলে দিয়ে নির্ভার থাকতেন সতীর্থরা, তেমনই ড্রেসিংরুমেও যে কোনও বিপদে আপদে ভরসা একটাই, সোনি তো আছেনই। দল যত বিপদেই পড়ুক না কেন, সমর্থকদেরও ভরসা ওই একজনেই। নিজের অজান্তেই সোনি হয়ে উঠেছিলেন দলের পরিত্রাতা। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের অধিনায়ক হওয়া যে কতখানি গুরুভার তা জানতেন সোনি। আর জানতেন বলেই বোধহয় এরকম অনাবিল দক্ষতায় মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন। গঙ্গাপারের ক্লাবে বিদেশি তো কম খেলে যাননি। কিন্তু সবুজ তোতা ব্যারেটোর পর সোনিই যে সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন তা উল্লেখ করাও বাহুল্য মাত্র। তাই যেদিন চোটের কারণে ছিটকে গেলেন সেদিনই প্রমাদ গুণেছেন সমর্থকরা। তবু ভরসা ছিল লড়াকু সোনি ফিরে আসবেন। কিন্তু নাছোড় চোটে নাকাল হয়েই ফিরতে হচ্ছে হাইতিয়ানকে। অধিনায়ককে নায়কের মর্যাদা দিতে ভোলেনি ক্লাব ও সমর্থকরা। রবিবার ফিরতি ডার্বিতে তো একজন সোনি ছিলেন না। কিন্তু তাতে কী! মাঠে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার সোনি। হ্যাঁ, আদতে মুখোশ। কিন্তু কে না জানে সত্যিকারের আবেগের মুখ আর মুখোশে কোনওদিন ফারাক হয় না ।
|
|
শেষ কবে কোনও বিদেশির ক্লাব ছাড়া নিয়ে এমন আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম হয়েছিল, মনে করতে পারছেন না ক্লাবের প্রবীণ সমর্থকরাও । যাওয়ার আগে যেন মোহনবাগান সমর্থকদের রাঙিয়েই দিয়ে গেলেন হাইতিয়ান তারকা। বলে গেলেন, চোট সারিয়ে মোহনবাগানেই ফিরে আসব ।
ডাউনলোড করুন বিশ্ব বাংলা অ্যাপলিকেশান -
No comments:
Post a Comment