দেখতে দেখতে ৯’টা বছর কেটে গেল। ২০০৯ সালের এই ২৫’শে অক্টোবর। এই দিনেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। এবার আর এক ২৫’শে অক্টোবরের সকালে প্রথমবার আই লিগ জয়ের স্মৃতিতে ডুব দিলেন সনি নর্ডি ও বেলো রজ্জাক। ২০১৪-১৫ মরশুমে এই দুই বিদেশির হাত ধরেই ‘ভারত সেরা’ হয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে বেঙ্গালুরু এফসিকে জিততেই হত। তবে জিতলে অথবা ড্র করলেও, মোহনবাগানের কাছে লিগ জয়ের সুযোগ ছিল। যদিও একটা সময় ম্যাচে এগিয়ে ছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। তবে ৮৬ মিনিটে সনির বাঁক খাওয়ানো কর্ণার থেকে হেডের সাহায্যে গোল করে যান বেলো। সেই গোলের সৌজন্যে সমতা ফেরানোর পাশাপাশি বেঙ্গালুরু এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে রুখে দিয়ে খেতাব জিতেছিল মোহনবাগান।
বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ সনির সাথে মোহনবাগান মাঠে দেখা করতে আসেন বেলো। দীর্ঘদিন পরে দুই বন্ধু একে অন্যকে দেখেই ইয়ার্কি-ঠাট্টায় মেতে উঠলেন। তবে শুধু এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি সনি। বেলো’কে মজা করে বাগানের নতুন ডিফেন্ডার বলে ফেললেন তিনি। বলছিলেন, “বেলোর গালের দাড়ি পেকে গেলেও ও দারুণ ফুটবলার। এই দেখুন আমাদের নতুন বিদেশি! বেলো হল আমাদের নতুন ডিফেন্ডার!”
সেবার বাগানকে আই লিগ এনে দিলেও, কয়েকদিন পরেই অবশ্য পরবর্তী মরশুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলে সই করেন এই বিদেশি। সেই ব্যাপার নিয়ে তখন অনেক বিতর্ক হয়েছিল। তবে বেলোর কাছে এখন সবকিছু অতীত। যদিও ‘ভারত সেরা’ হওয়ার স্মৃতিতে এখনও বিভোর বেলো। ক্লাব থেকে বেরিয়ে বলছিলেন, “সেই রাত তো ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গিয়েছে। পুরো ঘটনা আমার কাছে এখন অতীত। তবে ম্যাচটা নিয়ে এখনও আলোচনা হলে ভাল লাগে।” কিছুক্ষণ থেমেই সেই ঐতিহাসিক গোল নিয়ে বললেন, “আমার যখন আরও কম বয়স ছিল, তখন এমন গোল অনেক করেছি। এটা আমার কাছে নতুন নয়। তবে ওই গোলের জন্য সনির অনেক কৃতিত্ব রয়েছে।”
একইসঙ্গে সনিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন বাগানকে আই লিগ এনে দেওয়া নাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার। বললেন, “সনি মোহনবাগানে কামব্যাক করার জন্য ওকে শুভেচ্ছা জানালাম। আশাকরি ও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারবে। একইসঙ্গে মোহনবাগানকেও অনেক শুভেচ্ছা। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কোচিংয়ে দল দারুণ খেলছে।”
source by - www.bangla.xtratime.in
No comments:
Post a Comment