খালিদ ফার্গুসন না মোরিনহো? লাল-হলুদ কোচকে কটাক্ষ সুভাষের... - Mohun Bagan

Breaking

Ad

Ad

Post Top Ad

Thursday 22 March 2018

খালিদ ফার্গুসন না মোরিনহো? লাল-হলুদ কোচকে কটাক্ষ সুভাষের...


 আই লিগ হাতছাড়া হয়েছে। সামনেই সুপার কাপ। স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলের উপর ট্রফি জয়ের চাপটা রয়েইছে। আর সেই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলনেও গরহাজির কোচ খালিদ জামিল। কোথায় তিনি? তিনি কি নিঃশব্দে শহর ছাড়লেন? নাকি লাল-হলুদের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কের ছেদ ঘটালেন? বুধবার ফের এই প্রশ্নই উঠল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। আর খালিদ মিঞার এহেন আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ দলের টিডি সুভাষ ভৌমিক। ময়দানের ডাকাবুকো ভোম্বল যে কাউকে তোয়াক্কা করেন না, তা এদিন তাঁর কথায় আবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
মঙ্গলবারই সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ ছাড়াই। দ্বিতীয় দিনও কোচকে দেখা গেল না। যথারীতি দলকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন সুভাষ ভৌমিক। বুঝিয়ে দেন কোচের অনুপস্থিতিতে অনুশীলন আটকে থাকবে না। কোচ আসছেন না বলে যে তিনি বিরক্ত তাও লুকিয়ে রাখলেন না। “খালিদ কে? ও ফার্গুসন বা মোরিনহো তো নয়। তাহলে ও না আসলে প্র্যাকটিস বন্ধ হবে কেন? আমি মনোরঞ্জনের (ভট্টাচার্য) মতো ভদ্রলোক নই। আর স্পষ্টই যা বলার বলছি। ক্লাব ওকে ফোন করেছে। কিন্তু ও কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।” তারপর মজা করে বলেন, “কোচের চেয়ার পেয়ে গেলে আর কে ছাড়ে। এই তো এখন আমি পেয়ে গিয়েছি। নিজের মতো করে কাজও শুরু করে দিয়েছি।” কোচিং জমানায় অনেক ফুটবলারকেই মাঠের বাইরে বসিয়ে রেখে শাস্তি দিয়েছেন সুভাষ। খালিদ ফিরলে কি তেমনটা হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুভাষের সাফ মন্তব্য, “বলব। আগে কীভাবে কাজ করছি দেখে নাও। তারপর মাঠে নামো।”
মঙ্গলবার ইয়ো ইয়ো টেস্ট থেকে শুরু করে টেন্টে বসে ফুটবলারদের ক্লাস নেওয়া, সবই করেন টিডি। ড্রেসিংরুমে তিন বিদেশি আমনা, কাটসুমি ও এডুকে নেতা হিসাবে বেছে নেন। তবে ফুটবলাররা বিভ্রান্ত। আপাতত টিডির কথাতেই এগোচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কোচ যোগ দিলে কী হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। আই লিগে ব্যর্থতার সব দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন খালিদ জামিল। বলেছিলেন, দলকে সুপার কাপ এনে দেবেন। কিন্তু তার আগেই সুভাষ ভৌমিকের আগমনে অনেক সমীকরণই পালটে গিয়েছে। এককথায় ইস্টবেঙ্গলে খালিদ জমানার একপ্রকার অবসান ঘটিয়ে দিলেন ময়দানের ভোম্বলদা।




Source by:- www.sangbadpratidin.in

No comments:

Post a Comment