আজ চাপ দিয়ে অঞ্জন মিত্রকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না... - Mohun Bagan

Breaking

Ad

Ad

Post Top Ad

Saturday 24 March 2018

আজ চাপ দিয়ে অঞ্জন মিত্রকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না...


শতাব্দীপ্রাচীন মোহন বাগান ক্লাবে প্রায় ফি-বছর কতিপয় কর্মকর্তার পদত্যাগের নাটক দেখে অনেক কট্টর সমর্থকও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন। আর এই রুটিন নাটক অভিনীত হয় মরশুমের কালবেলায় পরবর্তী সিজনের দলগঠনের প্রাকলগ্নে। ক্লাবের কতিপয় শীর্ষকর্তা এমন পদত্যাগপত্র পাঠান যা কর্মসমিতি অনুমোদন করে না। এমনকী, তা গৃহীতও হয় না। শনিবার বিকেলে মোহন বাগান তাঁবুতে আরেকটি কর্মসমিতির সভা বসতে চলেছে। ময়দানের একটি মহল রটিয়ে দিয়েছে, ওই সভায় চাপ দিয়ে নাকি সচিব অঞ্জন মিত্রকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। এঁরা অবশ্য মোহন বাগান ক্লাবের সংবিধান কখনও উলটেপালটে দেখেননি। মোহন বাগান সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন সচিব। কর্মসমিতি তাঁকে সচিব পদে বসায় না। ক্লাবের যাবতীয় প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে সচিবের হাতে। তাই কর্মসমিতির সভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনে মোহন বাগান সচিবকে অপসারণ করা সম্ভব নয়। 
এবার মোহন বাগান ক্লাব ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি প্রসঙ্গে আসা যাক। ক্লাব সভাপতি পদাধিকার বলে এই কোম্পানির চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনিও গত বছর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। যা অবশ্য কর্মসমিতি এখনও গ্রহণ করেনি। একইভাবে সপ্তাহখানেক আগে ক্লাবের সহ-সচিব এবং অর্থ-সচিবও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। মোহন বাগান সচিব এই ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর কন্যাও তাই। সুতরাং, পদত্যাগের বাসনা প্রকাশ করে চিঠি দেওয়া ক্লাব সভাপতি, সহ-সচিব ও অর্থ-সচিব কোনওভাবেই শনিবারের সভায় চাপ দিয়ে সচিবকে ওই ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেড থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে সরিয়ে দিতে পারবেন না। 
তাহলে শনিবারের কর্মসমিতির সভায় কী হবে? মোহন বাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, ‘মূলত আলোচনা হবে ফুটবল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। সামনে রয়েছে সুপার কাপ। এছাড়া পরবর্তী মরশুমের ফুটবল দল গঠনের প্রস্তুতির ব্যাপারটিও আছে। এবার কেউ যদি বিবিধ প্রসঙ্গ তুলতে চায় তবে তা তুলতেই পারে। শুনছি, আমার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ নাকি কেউ কেউ আনতে চায়। আমি সব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। তবে আমাকে কেউ চাপ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে না। কারণ, কর্মসমিতির ভোটে আমি সচিব পদে নির্বাচিত হইনি। একমাত্র মোহন বাগান সদস্যরাই আগামী নির্বাচনে আমাকে হারাতে পারে। আমার হাত ধরে যারা মোহন বাগান ক্লাবে এসেছে এখন তারাই পিছন থেকে ছুরি মারতে চাইছে। আমি চাই, মোহন বাগান ক্লাবে আবার নির্বাচন হোক। নির্বাচনে যদি আমি হেরে যাই তাহলে এক মুহূর্তও পদ আগলে থাকব না। এই মুহূর্তে ফুটবল বিভাগের বকেয়া পেমেন্ট প্রায় চার কোটি। এবার দল গঠনের দায়িত্বে যারা ছিল তাদের এই অর্থের সংস্থান করে দেওয়া উচিত। কারণ, ফুটবল দল গঠন বা বিবিধ চুক্তি সম্পর্কিত ব্যাপারে আমি পুরোপুরি অবগত নই।’
তবে শনিবারের সভার আগে একটা বিষয় পরিষ্কার, আগামী মরশুমে মোহন বাগানের ফুটবল দল গঠনের ব্যাপারটি সাম্প্রতিক ডামাডোলে সুপার কাপ চলাকালীন কতটা এগবে তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। অনেকেই এই পর্বে আগামী মরশুমের জন্য দল গুছিয়ে নিতে চাইবে। মোহন বাগানের সহ-সচিব এবং অর্থ-সচিব পদত্যাগের চিঠি পাঠানোর পরেও কিছু ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শনিবারের সভায় সচিব পদ থেকে অঞ্জন মিত্রকে চাপ দিয়ে সরিয়ে দিতে না পারলে (সংবিধানে যার কোনও সুযোগ নেই) সহ-সচিব এবং অর্থ-সচিবের আগামী মরশুমে দল গঠনের উদ্যোগ অদূর ভবিষ্যতে কতখানি গতি পাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যায়। 
বহুদিন আগে মোহন বাগান ক্লাব সম্পর্কে লিখেছিলাম, কালীদাস স্পোর্টিং ক্লাব। এই ক্লাবের কর্তারা যে ডালে বসে থাকেন তার আগায় কোপ মারেন। কেউ কেউ চান, ১২৯ বছরের ক্লাবটিকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে কুক্ষিগত করতে। আর সেই কারণেই সচিব পদ থেকে অঞ্জন মিত্রকে অসুস্থতার অজুহাত তুলে পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।





source by :- http://www.bartamanpatrika.com

No comments:

Post a Comment