দুই প্রধানেরই অফার পৌঁছে গেল মিনার্ভার ফুটবলার গগন বালির কাছে... - Mohun Bagan

Breaking

Ad

Ad

Post Top Ad

Saturday 31 March 2018

দুই প্রধানেরই অফার পৌঁছে গেল মিনার্ভার ফুটবলার গগন বালির কাছে...


বল কন্ট্রোল, গতি, ওয়ার্কলোড নিয়ে এই ফুটবলার ইতিমধ্যেই সাধারণ থেকে তারকা হয়ে ওঠার পথে। আইলিগই পরিচিতি দিয়েছে তাঁকে।
আগামী মরশুমের জন্য দল সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে দুই প্রধানেই। চেঞ্চো, হেনরি কিসেক্কা, আইদারাদের মতো তারকাদের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে দুই প্রধানের প্রস্তাব। বিদেশিদের নেওয়ার পাশাপাশি এবার ভাল দেশীয় তারকাদের আগেভাগে তুলে নিতে চাইছে মোহন-ইস্ট। তাই এবার দুই প্রধানেরই অফার পৌঁছে গেল মিনার্ভার ফুটবলার গগন বালির কাছে।
বল কন্ট্রোল, গতি, ওয়ার্কলোড নিয়ে গগন বালি ইতিমধ্যেই সাধারণ থেকে তারকা হয়ে ওঠার পথে। আইলিগই পরিচিতি দিয়েছে গগন বালিকে। পঞ্জাবি ফুটবলের ‘নেক্সট বিগ থিং’ আপাতত গগনই। চেঞ্চো, উইলিয়াম ওপোকু, কাসিম আইদারারা যদি মিনার্ভা পঞ্জাবের মুখ হয়ে থাকেন, তাহলে নিঃশব্দে মিনার্ভাকে আইলিগে বয়ে এসেছেন গগন, দীপক দেবরানিদের মতো লো-প্রোফাইল তারকারা।

হোশিয়ারপুর জেলার মাহিলপুর গ্রামে বেড়ে উঠেছেন গগন। তীব্র আর্থিক সঙ্কটের সামনে বালির সামনে দু’টো অপশন ছিল— এক, হয় নিজের ফুটবলার হওয়ার প্যাশন সযত্নে লালন করা। দুই, বাবার সঙ্গে চাষে সহায়তা করা। আর্থিক অনটনের মধ্যেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে গিয়েছেন তিনি। গগন পঞ্জাব থেকে বলছিলেন, ‘‘আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল। বাবা আমাকে বলেছিলেন তাঁকে সাহায্য করতে, তবে উনি আমাকে জোর করেননি। সেই সময়ে বেশ দ্বিধায় কেটেছিল।’’
তবে বালির জীবনে টার্নিং পয়েন্ট আসে জেসিটির প্রাক্তন এক কোচের হাত ধরে। তিনি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, চণ্ডীগড়ে গিয়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নকে ধাওয়া করতে। বছর ছ’য়েক আগে চণ্ডীগড়ের স্থানীয় লিগে খেলতে শুরু করেন তিনি। এর পর আস্তে আস্তে সুযোগ মেলে সন্তোষ ট্রফিতে খেলার জন্য। সন্তোষে ভাল পারফরম্যান্স করে নজর কাড়ার সেই শুরু।
পরিবারের আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য বালি একটি হিসেবরক্ষকের চাকরি নেন। পাশাপাশি চলতে থাকে খেলাও। তবে সেই সঙ্গেই তিনি উপলব্ধি করতে থাকেন, জেসিটি উঠে যাওয়ার পর পঞ্জাবি ফুটবলারদের জাতীয় স্তরে নজরে আসা ভীষণে শক্ত।
পরিবারের আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য বালি একটি হিসেবরক্ষকের চাকরি নেন। পাশাপাশি চলতে থাকে খেলাও। তবে সেই সঙ্গেই তিনি উপলব্ধি করতে থাকেন, জেসিটি উঠে যাওয়ার পর পঞ্জাবি ফুটবলারদের জাতীয় স্তরে নজরে আসা ভীষণে শক্ত।

এখন তাঁর লক্ষ্য একটাই, সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে জাতীয় দলে খেলা। তাই আত্মপ্রত্যয়ী গগন বলে দিচ্ছেন, ‘‘সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতীয় দলে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম জাতীয় দলের হয়ে খেলব। তবে এখনও ফিটনেস লেভেলে অনেক উন্নতি ঘটাতে হবে। অনুশীলনে নিজের ২০০ শতাংশ নিংড়ে দিতে হবে। কবে জাতীয় দলের কাছ থেকে ডাক আসে, সেই প্রতীক্ষাতেই রয়েছি।’’
এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হননি। তবে সেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ‘সমস্যায়’ ফের পড়েছেন তিনি। এবারের মতো সমস্যা অবশ্য তিনি বার বারই চাইছেন। কারণ, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের প্রস্তাব পেয়ে তিনি এখনও ঠিক করতে পারছেন না কোন দলকে ‘হ্যাঁ’ বলবেন। গগন বলছেন, ‘‘কলকাতায় খেলা আমার কাছে অনেকটা স্বপ্নপূরণের মতোই। তবে এই মুহূর্তে মিনার্ভার জার্সিতে সুপার কাপেও জিততে চাইছি। তার পরে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করব, কোথায় খেলব। সুপার লিগের প্রস্তাব এলেও ভেবে দেখব।’’
হোশিয়ারপুরের গগন সত্যিই এখন আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়!


Source by :- www.ebela.in

No comments:

Post a Comment