অর্থাভাবের জন্য মোহন বাগান নিজেদের মাঠে অনুশীলন করছিল। অনেক চাপাচাপির পর সচিব বৃহস্পতিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস মাঠ দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া নেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছেন। সকালে জিম সেশনের পর আজ বিকেলে সল্টলেকে অনুশীলন করবে মোহন বাগান। বৃহস্পতিবারের অনুশীলনে আসতে পারেন সচিব। বুধবার প্র্যাকটিসে ফুটবল সচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কর্মসমিতির দুই সদস্য। মাঠ সচিব অবশ্য প্র্যাকটিসের সময় নিয়ে সিসিএফসি’র সঙ্গে বোঝাপড়া করে দিয়েছিলেন। সন্তোষ ট্রফির আসরে ইস্ট বেঙ্গলের কোচ আর কর্তারা রোজই উপস্থিত থাকছেন। অল্প খরচে ফুটবলার তুলে আনতে সন্তোষ ট্রফিকেই বেছে নিয়েছেন ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা। মোহন বাগানের কোনও কর্তাকেই কিন্তু সন্তোষ ট্রফির আসরে দেখা যাচ্ছে না।
সত্যজিৎ চ্যাটার্জির নিজের শহরে বাংলা দুটি ম্যাচ খেললেও ফুটবল সচিবকে দেখা যায়নি হাওড়া স্টেডিয়ামে। তবে গঙ্গাপারের ক্লাবটির বেশ কিছু সমর্থক ছিল হাওড়া স্টেডিয়ামে। সবুজ মেরুনের দুই শীর্ষ কর্তার ছোটবেলার শহর হাওড়া। এই মুহূর্তে দুই শীর্ষ কর্তার কার্যত বাক্যালাপ নেই। মোহন বাগানের বেশ কিছু সমর্থককে শুকনো মুখে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। অনেকেই বললেন, ‘কোনও নিদির্ষ্ট কর্তা নয়, মোহন বাগান ক্লাবের স্বার্থ যাঁরা ভালোভাবে দেখতে পারবেন আমরা তাঁদের দিকে। এই তো ইস্ট বেঙ্গল টিম করতে শুরু করে দিয়েছে। মিনার্ভার আদারার সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করেছে। সচিব নির্বাচনের কথা বলছেন। তবে দল গড়বেন কে? হয়তো এই জন্যই মোহন বাগান কর্মসমিতির একটি বড় অংশ শনিবারই হেস্তনেস্ত চাইছেন। শনিবারের সভায় সচিবকে বেশ চাপে থাকতে হবে। কারণ ২০১৫ সালে নির্বাচিত ২০ জন কর্মসমিতির মধ্যে সচিব ঘনিষ্ঠ চারজন অনুপস্থিত থাকছেন। হাওড়াবাসী এক কর্তা সেদিন কলকাতায় থাকছেন না। একজন অসুস্থ। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাগুইআটির এক প্রাক্তন সিপিএম নেতা ক্লাবমুখো হন না। ডামাডোলে নেই বিদেশ বসুও। তাই ‘বিবিধ প্রস্তাব’ আনলে সচিব সভাতেই সংখ্যালঘু হয়ে যেতে পারেন। এজেন্ডায় আছে সহ সচিব ও অর্থ সচিবের ইস্তফা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। এই ‘বিবিধ প্রস্তাব’ সেই প্রেক্ষিতেই উঠতে পারে। সোমবারও সচিবকে কয়েকজন কর্মসমিতির সদস্য ও পদাধিকারী অনুরোধ করেছিলেন, সামনে দলবদল, তাই আপাতত সভাপতি হতে রাজি হয়ে যান। তবে সচিব অনড় মনোভাব দেখান। এদিকে, রিপ্লে নিয়ে সচিবের খুল্লামখুল্লা বক্তব্য মেনে নিতে পারেনি ‘সভাপতি’। বুধবার কথা বলে মনে হল, তিনি বেশ ব্যথিত। সূত্রের খবর, স্পনসরমানি হোল্ড করা আছে। ক্লাব তহবিলে ঢুকে যাবে সময়মতো।
বুধবার সন্তোষ ট্রফি ম্যাচের পর তীর্থঙ্কর সরকারের ফোন নম্বর নেন ইস্ট বেঙ্গলের এক প্রতিনিধি। তীর্থ অবশ্য বললেন,‘মোহন বাগান আকাদেমি থেকে উঠে এসেছি। চাকরির ব্যাপারে এক শীর্ষ কর্তা সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু ওখানে তো ডামাডোল! দেখা যাক কী হয়?’ এদিকে, আজ পালিত হবে ইস্ট বেঙ্গলের ক্রীড়াদিবস। সকালে ক্লাব তাঁবুতে প্রদীপ জ্বালাবেন জামশেদ নাসিরি।
Source by :- http://www.bartamanpatrika.com
No comments:
Post a Comment